জেলা 

Death: নদীয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে‘ধর্ষণ’ ,রক্তপাতে মৃত্যু! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পুত্র, জোর করে লাশ দাহ করানোরও অভিযোগ

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : ঘটনাবহুল রাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবাংলা। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও খুন-ধর্ষণ লেগেই রয়েছে। আর এইসব ঘটনার অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এক নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণ করার পর অতিরিক্ত অতিরিক্ত রক্তপাতের ওই নাবালিকার মৃত্যু হলে তাকে জোর করে দাহ করা হয়েছে।গত সোমবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি এক নম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকায়। তা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

অভিযোগ উঠছে, হাঁসখালি এক নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত সোমবার ব্রজগোপালের জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বগুলার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে। নাবালিকার পরিবারের দাবি, ওই রাতে এক জন মহিলা এবং কয়েক জনকে দিয়ে মেয়েকে ব্রজগোপালদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। ১৪ বছরের ওই নাবালিকার বাড়ির লোকজনের দাবি, ব্রজগোপালের বাড়ির লোকেরা জানান, পার্টিতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নাবালিকাকে স্থানীয় কোনও ‘হাতুড়ে ডাক্তার’-এর কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় বলে দাবি নাবালিকার পরিবারের। ওই নাবালিকাকে হাসপাতাল বা বেসরকারি কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাঁদের ‘নিষেধ’ করা হয় বলেও অভিযোগ পরিবারের।

Advertisement

পরামর্শ মতো ওই নাবালিকাকে স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু ওই নাবালিকাকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি। তার পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার মেয়ের মৃত্যুর পর জোর করে তার দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর দলবল।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে তাঁরা আতঙ্কে ছিলেন। তবে চাইল্ড লাইনের কর্মীদের আশ্বাসে তাঁরা শেষ পর্যন্ত হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের ওই পার্টিতে চার-পাঁচ জন পুরুষ আমন্ত্রিত ছিলেন বলেও অভিযুক্তের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নাবালিকার বাড়ির লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, হাঁসখালি থানার ওসি মুকুন্দ চক্রবর্তী গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাননি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মত, তৃণমূল নেতার ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ